নিজস্ব প্রতিবেদক:
একে একে চারজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছে । প্রত্যেকবারই ধরা খেয়েছে । প্রতিবারই
এলাকার
মাতাব্বরদের দারস্থ হয়ে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও এলাকাবাসীর হাতে পায়ে ধরে ক্ষমা চেয়ে মাফ নিয়েছে । ফের ধর্ষণ
চেষ্টার
ঘটনা ঘটিয়েছে । এবার এলাকাবাসীর বিবেকে আর ধর্ষক শিক্ষকের প্রতি ক্ষমার ঠাঁয় মিলেনি। প্রতিবাদে গ্রামের সমস্ত মানুষ এক হয়েছে । প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এলাকাবাসী গতকাল শনিবার এক মানববন্ধনের আয়োজন করে ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই ।
ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগটি বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুর চর ইউনিয়নের শেকেরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন লাহুর বিরুদ্ধে ।
মানববন্ধনে যৌনহয়রানির শিকার হওয়া শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন । এসময় স্থানীয় বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বাবু, দুলাল মিয়া, জসিম, সোলায়মান, তাসলিমা আক্তার, সাজেদা, মোর্শেদা বেগম সহ উপস্থিত সকলেই লাহুরের ধর্ষণ
চেষ্টা
ঘটনার সত্যতার লোমহর্ষক বর্ণনা দেন । তারা বলেন, সে (লাহুর) ক্লাস শেষে গরীব পরিবারের বালিকা শিক্ষার্থীদের ফ্রিতে প্রাইভেট পড়ায় । ওই সময় ক্লাস রুমের বারান্দার গ্রিলে তালা লাগিয়ে দেয় । আর কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যৌনাচার করতে বাধ্য করে । এর আগেও সে বেশ কয়েকবার শিক্ষার্থীদের মাঝে যৌনহয়রানি সহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে । এমনও নজির আছে একজন শিক্ষার্থী তার ধর্ষণের শিকার হয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মাথাঘুরে পড়ে যায়। এবার তাকে শাস্তি পেতেই হবে । স্থানীয়রা আরো বলেন, গত দশ-বারো বছর ধরে শেখের চর এলাকার মেয়েরা লাহুরের যৌনহয়রানির শিকার হয়ে আসছে । এমনকি এই এলাকার একজন বিধবা মহিলা তার
ধর্ষণ চেস্টার শিকার হয়ে কোর্টে মামলাও করেছে ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, লাহুর স্যার অঙ্ক করতে দেয় । সমাধান করে খাতা নিয়ে গেলে বলে অঙ্ক হয়নি । অঙ্ক বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে কাছে ডেকে শরীরের গোপন অঙ্গে হাত দেয় । এবং তার গোপনাঙ্গ বের করে দেখায় । প্রতিবাদ করলে টাকা-পয়সা, চকলেট, বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখায় এবং অভিভাবককে বলতে মানা করে । সেইসাথে বেত্রাঘাতের ভয়ও দেখায় ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, মেয়েরা স্কুলে যেতে চায়না । শরীর অসুস্থ থাকে । কারণ স্বরূপ শিক্ষক লাহুরের যৌনহয়রানির কথা বেড়িয়ে এসেছে । আর কোন কোমলমতি শিক্ষার্থী যেন লাহুরের যৌনাচারের শিকার না হয় বলে অভিভাবকরা শিক্ষকের অপসারণ ও ফাঁসি চায় ।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আলী আহসান দৈনিক আলোচিত জামালপুর’কে বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষকের ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জয়নাল আবেদীন লাহুর ভাষ্য, একটা শ্রেণি তাকে হয়রানি করছে ।