দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি :
‘দেওয়ানগঞ্জ কামিল মাদ্রাসায়’ কামিল প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষাবর্ষের সকল ফি আদায়ের পরও ব্যাবহারিক (ভাইভা) পরীক্ষার দিন ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ফের এক হাজার করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। আদায়কৃত টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের সম্মানী ও মেহমানদারি বাবদ খরচ দেখিয়েছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। যার একটি নথি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে। এতে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে মাদ্রাসা প্রশাসন।
ভাইরাল নথির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে, চলতি বছরের মে মাসে মাদ্রাসায় কামিল প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ভাইভা পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে মোট ‘এক লক্ষ এক হাজার একশত টাকা’ আদায় করা হয়। যার ৮৩ হাজার টাকা শিক্ষক কর্মচারীদের সম্মানী, একশত টাকা অন্যান্য খরচ এবং ১৮ হাজার টাকা মেহমানদারি খরচ দেখানো হয়। সম্মানী বণ্টনের নথিতে দেখা গেছে চারজন শিক্ষকের সম্মানী এবং মেহমানদারি বাবদ খরচের টাকা গ্রহণের স্বাক্ষরের জায়গায় একই ব্যক্তির স্বাক্ষর। মাদ্রাসার বেশ কয়েকজন শিক্ষক নিশ্চিত করেন, সম্মানী দিলেও মেহমানদারির টাকায় কোন মেহমানদারি হয়নি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থীরা বলেন, ভাইভা পরীক্ষার দিন টাকা জমা দিয়ে তারপর হলে ঢুকতে হয়েছে। তাছাড়া টাকা না দিলে নাম্বার কম দিবে। তাই প্রতিবাদ না করে চুপচাপ টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা আদায় করেছেন অত্র মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আরিফুর রহমান ও অফিস সহকারী সায়েম মোল্লা।
অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে মো. সায়েম মোল্লা, আরিফুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানের নির্দেশেই টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ভাইভা পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের বৈধতা সম্পর্কে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান বলেন, টাকা তোলার নিয়ম আছে। এবং আপ্যায়ন বাবদ যে টাকা তোলা হয়েছে তা এখনও খরচ করা হয়নি। টাকাগুলো জমা আছে। সময় সুযোগ বুঝে খরচ করা হবে।
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (অর্থ) মো. রুমি কিসলু বলেন, ভাইভা পরীক্ষার দিন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোন নিয়ম নেই। টাকা নিয়ে থাকলে অনিয়ম হয়েছে। উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান।